এটি কোন গল্প বা প্রবন্ধ নয় । সাম্প্রতিক কালে আমার মনে একটি ছোট্ট অথচ গভীর ক্ষত উপসম করবার প্রয়াস মাত্র ।
“মেকা” (MECA) মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ছাত্রদের একান্তই নিজেদের সংগঠন । মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ, সমাজের বাছাই করা গুটিকতক ছেলেদের যথেষ্ট উৎকৃষ্ট শিক্ষা ও অনুশীলনের সুযোগ করে দিয়ে ওদের আরও উৎকৃষ্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলে । আমিও উক্ত বিদ্যাপীঠের একজন প্রাক্তন ছাত্র । সেই বিদ্যাপিঠে অধ্যয়ন করে আমি গর্বিত । নির্দ্বিধায় এটি দেশের একটি প্রথম শ্রেণীর বিদ্যানিকেতন । অনেক উজ্জ্বল, বরেণ্য, স্বনামধন্য জনের দীক্ষার সুচনা হয়েছে এ বিদ্যানিকেতনে, ভবিষ্যতেও হবে ।
একদিন যখন আমার জীবনে অকস্মাৎ প্রতিবন্ধিত্বের বাজ ভেঙ্গে পড়ে আমার জীবনকে শৃঙ্খলের বেড় পড়িয়ে দিল, সেদিনের পর অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আমার প্রতি সহানুভূতি, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল । দুর্ভাগ্যক্রমে আমার নিজেরই সহপাঠীদের প্রতিষ্ঠান “মেকার” কাছ থেকে তেমন আশানুরূপ সাড়া পাইনি । সাহায্য নয়, সামান্য শুভানুশুভ জ্ঞ্যাত হতেও কাউকে আসতে দেখিনি । হতাশ হয়েছিলাম । প্রতিবন্ধিত্বের কারনে আমি দলচ্যুত, দলছাড়া হলাম নাকি ? যাই হোক, উপযাজক হয়ে নিজের থেকে উদ্যোগী হয়ে দলের সাথে অন্তর্ভুক্তির কোন সুযোগ পাইনি বা সে অবস্থা আমার আর ছিল না । তবে জীবনের এক উল্লেখযোগ্য অধ্যায় মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে ক্ষেপন করার কারনে “মেকার” প্রতি এক প্রকার নস্টালজিয়া আমার মধ্যে সর্বদাই কাজ করত।
তারপর অনেক দিন গত হয়েছে । আমার ভিন্ন স্বাদের জীবনটাতে আমি সফলভাবে বিচরণ করতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি । হঠাৎ একদিন মোবাইলে, ই-মেইলে একটি আমন্ত্রন পেলাম “মেকা” ইফতার পার্টির, সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিতভাবে । নস্টালজিয়া এসে ভর করল । ভাবলাম এ সুবাদে কত চেনা মুখ দেখতে পাব ! ঠিক করলাম, এ সুযোগ ছাড়া যায় না ।
ভেনুটি আমার বাসার সন্নিকটেই ছিল । তাই হুইলচেয়ার চালিয়ে খুব ফুরফুরে মন নিয়ে সময়মত পৌঁছুলাম । গিয়ে এক ঝাঁক অপরিচিত মুখের মুখোমুখি হলাম । সেই কবে কলেজ ছেড়েছি ! এরা বেশীর ভাগই আমার জুনিয়র । ইফতারের সময় হয়ে এল । একটি বড় হলঘরে ইফতারের আয়োজন হয়েছে । ওখানে এক কোনায় গিয়ে স্থান গ্রহন করলাম । হঠাৎ একজন মধ্যবয়স্ক সুদর্শন ভাই এগিয়ে এসে আমার পরিচয় ও পেশা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন । আমি পরিচয় জানিয়ে ওয়েব সাইট তৈরিতে নিজের পারদর্শিতার কথা জানালাম ।
উনি পাশেই দাঁড়ানো অপেক্ষাকৃত কম বয়সের এক প্রাক্তন ক্যাডেটকে লক্ষ্য করে নির্দেশ দিলেন – তাইলে তো ভালই হল । ওকে আমাদের “মেকার” ওয়েব সাইটের কাজ দিয়ে দাও ।
পরে জেনেছি আমার শুভান্যুধ্যায়ি ভাইটি “মেকার” প্রেসিডেন্ট । সামরিক বাহিনীর এক প্রথিতযশা অধিনায়কও বটে । আর যাকে উনি নির্দেশ দিলেন ও আমার প্রায় বারো বছরের ছোট প্রাক্তন ভ্রাতা ক্যাডেট, সাথে সাথে সে “মেকারও” সাধারণ সম্পাদক । আমার দুএকজন সহপাঠী ততক্ষণে এসে পড়েছে । ওদের সাথে ভিড়ে গেলাম ।
ইফতার পার্টি থেকে ফিরবার সময় “মেকার” প্রেসিডেন্ট ভাইটি আবারও আমাকে “মেকার” ওয়েব সাইট তৈরির কাজে আমাকে নিয়োগ দেবার সদিচ্ছার কথা প্রকাশ করলেন ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে পরে যোগাযোগ করতে বললেন ।
বাড়ী ফিরলাম চনমনে মন নিয়ে । ভাবতে ভীষণ ভাল লাগল, “মেকার” জন্য আমি কাজ করতে পারব । হ্যাঁ, অনেক দিন পর আমার আকাশে উড়তে ইচ্ছে হল। আমি “মেকার” সাথে সংশ্লিষ্ট হতে পারব । আমি দলচ্যুত হই নি । আমি নিজের মানুষদের সাথে আছি… ।
তারপর বেশ কিছুদিন গত হল। তা হবে প্রায় মাস দেড়েক । “মেকার” কাছ থেকে আর কিছু শুনিনি । আমার উৎসাহও মিইয়ে গেল । ভাবলাম, আরও অনেক প্রতিশ্রুতির মত আমার সিনিয়র “মেকার” প্রেসিডেন্ট ভাইয়ের প্রতিশ্রুতিও ছিল হয়ত অর্থহীন, যা আমার প্রিয় ভাইটি বোধহয় ভাবাবেগে এসে হঠাৎ করেই বেফাঁস বলে ফেলেছিলেন । তাই সেকথা আমিও প্রায় ভুলতে বসেছিলাম ।
হঠাৎ একদিন আমার সাধারণ সম্পাদক ছোট ভাইটির কল এল আমার মোবাইলে । তাঁর কথায় আমার, কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেটদের মূল স্রোতধারায় সন্নিবিষ্ট হবার ইচ্ছা আবার চাঙ্গা হয়ে উঠল। যা বোঝা গেল, নির্বাহী পরিষদের মিটিং চলছিল । উনি আমার সম্পর্কে তথ্য নিলেন । এই যেমন, আমি “মেকার” ওয়েব সাইটের কাজ করতে পারব কিনা, কত পারিশ্রমিক আশা করি ইত্যাদি । রীতিমত একটি ইন্টারভিউ । আঁচ করলাম পাশ থেকে আমার শুভাকাঙ্ক্ষী বড় ভাইটি নির্দেশনা দিচ্ছেন । সাধারণ সম্পাদক ছোট ভাই জানালেন, খুব শীঘ্রই উনি ওয়েব সাইটের যাবতীয় প্রয়োজনীয় তথ্যসমূহ নিয়ে আমার সাথে দেখা করবেন ।
আমি যারপরনাই খুশী হলাম । দুদিন পরে ইমেইলে নির্বাহী কমিটির মিটিংএ গৃহীত প্রস্তাবসমূহের সারসংক্ষেপ পেলাম । ওতে পরিষ্কার লেখা রয়েছে আমাকে “মেকার” ওয়েব সাইটের দায়িত্ব দেয়া হল। আমি এবার নিশ্চিত এবং উচ্ছ্বসিত । আমার শুভাকাঙ্ক্ষী বড় ভাইটি ভাবাবেগে এসে প্রস্তাবটি দেননি, এ ব্যাপারে এখন আমি নিশ্চিত। ব্যাপারটিতে যতটা না আমার একটা আর্থিক আয়ের আশা ছিল, তার চাইতে বেশী নিহিত ছিল আমার অতীতের সাথে সম্পৃক্ত হবার ইচ্ছা, আমার একান্ত নিজের মানুষদের প্রতি একটি নস্টালজিক অনভুতি । তাই সাধারণ সম্পাদক ছোট ভাইকে পরিষ্কার জানিয়েছিলাম, পারিশ্রমিক একটা কিছু হলেই হবে, যে কোন মুল্যে আমি কাজটি করতে ইচ্ছুক ।
দিন যায় । আবারও সব চুপচাপ । মাঝে সাধারণ সম্পাদক ভাইটি মোবাইল করেছিল এই বলে, ওয়েব সাইটের ব্যাপারে কেউ আমার সাথে যোগাযোগ করেছিল কিনা । তারপর প্রায় আরও দুমাস পর ইমেইলে দেখলাম “মেকার” আরেকটি নির্বাহী কমিটির মিটিং হয়েছে । ওতে যা পড়লাম তাতে আমার স্বপ্ন, আশা, কলেজের জন্য নস্টালজিক হয়ে যাওয়া সমস্ত কিছুই ধূলিসাৎ হয়ে গেল । কাজটি অন্য কাউকে দেবার প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে । ভীষণ অপমানিত বোধ করলাম । এজন্য নয় যে আমি কয়টি টাকা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছি, বরং এজন্য যে আমি আসলেই দলচ্যুত হয়েছি । কেন ? প্রতিবন্ধী বলে ? হবে হয়ত । অন্ততপক্ষে আমার মনের গহীনে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে বারংবার – তুই প্রতিবন্ধী । একটি বাংলা নাটকে ঠিক যেমনটি একটি ময়না পাখী বলত – তুই রাজাকার ! তুই রাজাকার ! ঠিক তেমনি আমার কানে বাজছে – তুই প্রতিবন্ধী ! – তুই প্রতিবন্ধী !
নিজেকে প্রবোধ দেওয়ার চেষ্টা করলাম, হয়ত ওনাদের বিচারে আমি যোগ্য নই । কিন্তু বার বার একটি কথাই অনুভূত হচ্ছে – যোগ্যতা নয়, আমার অক্ষমতাই এই নিয়োগের পেছনে প্রধান প্রতিবন্ধক । আমি প্রতিবন্ধী, এটাই আমার একমাত্র অযোগ্যতা । বেশীর ভাগ মানুষের মনন, চিন্তা, মূল্যবোধ এখনও প্রতিবন্ধীত্বকে মেনে নেওয়ার অনুকুলে নেই। অধিকতর মানুষই প্রতিবন্ধী কাউকে মূল স্রোতধারায় প্রবেশ করতে দিতে উদাসীন, অনিচ্ছুক ।
সাধারণ সম্পাদক ছোট ভাইটিকে মোবাইলে কল করে আমার ক্ষতের কথা, যাতনার কথা, অপমানের কথা জানালাম । উনি আমার সাথে সহমর্মিতা প্রকাশ করলেন, আমার দুঃখে দুঃখী হলেন । বললেন উনি এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না, শীঘ্রই খবর নিয়ে কিছুক্ষন পরেই আমাকে জানাবেন । আমি জানালাম, উনি এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিলে খুশি হব । কিন্তু আমি নিশ্চিত ছিলাম উনি আমাকে প্রবোধ দেবার জন্য কথাটি বললেন । আসলেও তাই হল । ক্ষন পার হল… ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে গেল, ওনার মোবাইল আর এল না । ঘটনাটির যথার্থই যবনিকাপাত হল । আমি অগ্রহণযোগ্যতা, উদাসীনতা, নিঃস্পৃহতা, উপেক্ষার শিকার হলাম । আমি এবারে শুধু অপমানিতই বোধ করি নি, তার সাথে মনটাও আমার খান খান করে ভেঙ্গে গেল।
আমার চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে হল, আমি প্রতিবন্ধী নই… হতে চাইনি । আমাকে তোমাদের দল থেকে বিচ্যুত কোর না । আমাকে নেও । কথা দিচ্ছি, আড়ালে থেকে আমি কাজ করে যাব । তোমাদের সামাজিক আনন্দঘন অনুষ্ঠানগুলোতে অযাচিতভাবে উপস্থিত থেকে তোমাদের অপ্রস্তুত করব না… আমার শরীরটাই শুধু অক্ষম, মন তো নয়… !!
আমার বা আমার মত প্রতিবন্ধীদের কাছে এ ধরনের উপেক্ষা নতুন কিছুই নয় । এতে আমি বা আমরা অভ্যস্ত । আমার শুধু খারাপ লাগল, কেন আমাকে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও কোন যথার্থ কারন না দেখিয়ে বাদ দেওয়া হল !
“মেকাকে” কটাক্ষ করার ধৃষ্টতা আমার নেই । “মেকা” অবশ্যই সমাজের উৎকৃষ্ট জনদের একটি গোষ্ঠী, যার প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল প্রাক্তন ক্যাডেটদের কল্যাণে কাজ করা । তা ওনারা করছেন । আরও অনেক কল্যাণমূলক কাজও করছেন । এইতো কালই দেখলাম দুঃস্থদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করবেন তাঁরা ।
প্রতিবন্ধীদের অগ্রাহ্য করা, উপেক্ষা করা শুধু “মেকারই” নয়, জাতিগতভাবেই আমাদের বৈশিষ্ট । সবাই ওদের সমাজের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্ত করতে ভয় পায় । অথচ এটি একটি ভুল ধারণা । সমাজের সার্বিক কল্যাণ কিন্তু ওদের সমাজের অংশ হিসেবে স্বীকার করার মধ্যেই নিহিত । শারিরিকভাবে সীমিত ক্ষমতা থাকলেও, সুযোগ পেলে এরা অসাধারন সক্ষমতা দেখাতে পারে । চাকুরী ক্ষেত্রে এরা খুবই নিষ্ঠা, সততা ও সময়ানুবর্তীতার পরিচয় দেয় ।
উন্নত দেশগুলোর মূলনীতিই হল ওদের সমাজের মূল স্রোতে সম্পৃক্ত করা । অনেক বছর আগে আমি বিলেতের “সাউথ শিল্ড” নামক একটি শহরে গিয়েছিলাম পড়াশুনার অভিপ্রায়ে । ওখানে কলেজ ভবনের প্রবেশ পথের সিঁড়ির পাশে দেখলাম, লম্বা একটি ঢালু পথ । আমি ভাবলাম অহেতুক এটি কেন তৈরি করা হয়েছে ! পরে জানলাম, ওটাকে বলে “রাম্প” । ওটা হুইলচেয়ার প্রবেশের সুবিধার জন্য তৈরি করা হয় । ঐ রাম্পটি, ও কলেজ জুড়ে আরও অনেক রাম্প তৈরি করা হয়েছে কলেজ প্রতিষ্ঠার অনেক পরে, শুধু কলেজের একমাত্র প্রতিবন্ধী শিক্ষকের গমনাগমের সুবিধার জন্য ।
ভাবি, আমাদের দেশের সাধারণ মনস্তত্ত্ব এক্ষেত্রে হয়ত বলত, একটা মানুষের জন্য এত টাকা খরচ করার দরকারটা কি ? তার সাথে সাথে ভবনটির সৌন্দর্যও তো ব্যাহত হবে ! অথচ উন্নত দেশগুলো কিন্তু প্রতিবন্ধীদের অধিকার রক্ষায় আপোষহীন । পাশের দেশ ভারতও তর তর করে এগিয়ে যাচ্ছে । আমাদের ক্ষেত্রে এসব এখনও বড় বড় বুলি আর বক্তৃতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ।
এক অনুষ্ঠানে এক শ্রদ্ধেয় বিজ্ঞজনের বক্তৃতার একটি কথা খুবই মনে ধরেছিল । তিনি ডঃ সুভাগত ভট্টাচার্য, বারডেমের চিকিৎসক । উনি বলেছিলেন – বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের মূল লক্ষ্য ছিল সবার স্বাধীনতা নিশ্চিত করা । এখানে চিন্তা করার অবকাশ নেই যে, আমি ভাল আছি । বরং ভাবতে হবে আমরা ভাল আছি কিনা । আর তার জন্য প্রয়োজন সবার স্বাধীনতা । আমার প্রতিবন্ধী ভাই বা বোনটি স্বাধীনভাবে পথ চলতে পারছে কিনা, তার অধিকার সংরক্ষিত হচ্ছে কিনা ইত্যাদি নিশ্চিত করবার দায়িত্ব সমাজের । আমার প্রতিবন্ধি ভাই বা বোনটির সুখ নিশ্চিত করতে পারলেই বলা যাবে আমি সুখে আছি, আমরা সুখে আছি… ।
এ ধরনের একটি স্থান খোদ বাংলাদেশেই রয়েছে । যেখানে হিন্দু-মুসলমান, নারি-পুরুষ, প্রতিবন্ধী-অপ্রতিবন্ধী সবাই সুখী, সবার মুখে হাসি, শান্তি । বিশেষ করে প্রতিবন্ধীরা ওখানে খুব স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে । ওখানে কেউ মনেই করে না যে ওরা প্রতিবন্ধী । ওরা ওখানে নির্দ্বিধায় হাসছে, খেলছে, বেড়াচ্ছে, চাকুরী করছে, প্রেম করছে, বিয়ে করছে… । প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার কোন বাঙ্গালী নন, বরং একজন বিদেশিনী যিনি নিজেকে বাঙ্গালী মনে করেন । মহীয়সী এ বিদেশিনীর নেই কোন চাহিদা, নেই কোন অহংকার । বিনা লাভে, বিনা কোন শর্তে এদেশের প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য তিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন । সাহেব থেকে চাপরাশি পর্যন্ত সবার প্রতি তাঁর একই ব্যাবহার, একই সমাদরে কথা বলার ভঙ্গি । তাঁর প্রতিষ্ঠানে না চলে কোন দুর্নীতি, না চলে কোন অন্যায় । তাঁর আমন্ত্রনে সর্বদাই অনেক বিদেশী এসে এসব ভাগ্যাহত মানুষদের পাশে দাঁড়ান । ক্ষণজন্মা এই বিদেশিনীর নাম ডক্টর ভালেরি এ টেইলর । তাঁর প্রতিষ্ঠানের নাম সিআরপি ।
সবশেষে আমার ভুপেন হাজারিকার সেই গানের কয়েকটি পংতি মনে পড়ছেঃ
মানুষ মানুষের জন্য ।
জীবন জীবনের জন্য ।
একটু সহানুভূতি কি,
মানুষ কি পেতে পারে না…
ও বন্ধু…
সুন্দর
I am really touched by your saga, my brother. It rankles my mind! May be someday we will be respectful to you, treat you much better.
Rahat
MCC 21th Batch
Salam Shahid Bhai. It is Aboo Nasar your room mate. Good to hear your blog but sad to hear your fate. You were so much full of fun.
Molly my wife specializes in Spinal Cord Injury Rehab and met Ms. Valerie Taylor. She deserves a nobel Prize. I wish you all the best.
Alam bhai Assalamulikom. Alhamdulliha apnar sob lekha shundor.
Shumi
Germany
Dear Shahid,
Feeling sad reading your article. I am sure Iqbal Bhai’s attention will be drawn to this and hopefully, he will explain the matter to you and possibly to us as well. If there was any unintentional wrong which can still be righted, that should be done ASAP.
Even if you do not get back the job for any good reason, just ignore it and move forward. You have made your feelings for MECA known and that makes us proud. You are probably aware that there are many brilliant men and women in our own country who, despite being physically challenged, have been making laudable contribution to the society. We are glad to know you too are one of them.
Cheer up, brother!
Colonel Khairul Ahsan (Retd)
184/5
Definitely sir. Thank you very much for your views and assessments. Later MECA advised me to go ahead with the web site. That’s what I’m trying to do now. The previous web site is dead by perhaps virus and malwares.
I am trying my best but don’t know if I will be able to fulfill the expectations of many.
Please take care 🙂
kichu bolbar vasha nai dear brother.
সালাম ভাইয়া। আমি বিসিসি র ৯০-৯৬।
আপনার অনেক জুনিওর।
আপনি কি ফেসবুক ইউজ করেন?
রাজিব ধন্যবাদ । হ্যাঁ, আমি ফেসবুকে আছি । ID is msalambd.
Somajer a bibekhin noroposhu-der kach theke er basi amra asha korte parina dada !!!! Tar poreo bolbo “manush asher modhe beche thake”. R amader moto protibondhi jono-gostike nie amader moto kore ashte-ashte agie jete hobe…..
Proti-bondhita boro kotha noy. Manoshikota tai boro.
I am really impressed with ur writing and equally angry at the MECA’s arroganc and stupidity. It’s proven again current MECA is all about $$$$$. I feel ashamed of being an ex-cadet of this prestigious college (MCC). Pls go ahead dont bother what MECA is doing……
Nicely Written..Bhaia, I am sure MECA didnt appoint you for the task as because you have some physical disability. MECA may have some other reasons to do so. But surely they should had explain you the reason. I was associated with APEC(Association of Pabna Ex-Cadets). I knew some complexity of getting the task done by any ex-cadet. We tried twice with different ex-cadets who had web-site development expertise. But both time we failed because of some accountablity problem from the developer end. Then we thought if we appoint someone who doesnt have any relation with APEC except the professional one, then that would be effective. TAKE MONEY DELIVER PRODUCT philosophy. It was just a thought/strategy from APEC. And It worked better than the previous two attempts. I donno what exactly the reason MECA withdrew the task from you but I am sure there is some other explanation. And for sure MECA should had explain it to you. Bhaia, dont think you are not one of us. Once an ex-cadet is always an ex-cadet. I wish you good health and joyful life.
NB: Though i have tried to expain, still I agree, We have to learn a lot to behave equally to everyone.
Shahid ভাই,
লেখাটা পড়ে চোখদুটো কেমন ঝাপসা হয়ে গেল। আমরা যারা সৌভাগ্যক্রমে শারীরিকভাবে সুস্থ আছি তারা সবসময় বুঝে না বুঝে চেষ্টা করি শারীরিকভাবে অসুস্থদের কষ্ট দেয়ার জন্য। কেন জানেন? কারন আমরা বেশিরভাগই মানসিকভাবে অসুস্থ…পারলে আমাদের ক্ষমা করবেন…
জুনায়েদ কবীর
জেসিসি (১৯৯৫-২০০১ ইনটেক)
This our society and reality .
I am really feel guilty.
Dear Shahidul Bhai,
This real story . we were come out in this society as soon as possible . your story hit my heart. shob shese ami bolte chai ” amra korbo joy ekdin ”
take care your health
Shamim
Narsingdi